বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক - কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক
  প্রিয় পাঠক, আপনি কি ব্যাংক লোনের কথা ভাবছেন। বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন
  ব্যাংক এবং
  সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন
    ব্যাংক
  এর সম্পর্কে কিছু ধারনা নেই। তাহলে আপনার সমস্যার সমাধান আর্টিকেল সম্পূর্ণ
  মনোযোগ সহকারে পাঠ করার মাধ্যমে পেয়ে যাবেন বলে আশা করছি।
  প্রিয় পাঠক, আপনি আরো জানতে পারবেন সবচেয়ে কম সুদে কোন
  ব্যাংক লোন
  দেয়, ব্যাংক হলে পরে মাসিক কিস্তি কত হতে পারে, মাসের কত তারিখে মধ্যে কিস্তির
  টাকা পরিশোধ করতে হয় ইত্যাদি বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
পেজ সূচীপত্রঃ বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক
বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক
  সিএমএসআই এই
  খাতের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী অধিকাংশ লোকেরাই
  ব্যাংক গ্রহণ
  করার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়ক যে জামানত প্রদান করতে হয় তা দিতে সক্ষম হন না।
  তাই উক্ত খাতের উন্নয়ন এবং প্রসারের জন্য জামানত প্রদানের বাধ্যবাধকতা বড় ধরনের
  বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
  আরো পড়ুন: নগদে ক্যাশ আউট চার্জ কত ভ্যাট সহ
  প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান দারিদ্র বিমোচন জীবনধারার মান উন্নয়ন নারীকে
  অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সমাজের সামাজিক বৈষম্য এবং উন্নত রাষ্ট্র গঠনে
  তথা  সহজ শর্তে ঋণ বিতরণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
  বাংলাদেশের ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করে ৪৩ টি ব্যাংক এবং ০৮ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
  জামানার ছাড়াই ঋণ দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে সরকারি খাতের ব্যাংক
  হল
- সোনালী ব্যাংক
 - রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক
 - জনতা ব্যাংক
 - রূপালী ব্যাংক
 - বেসিক ব্যাংক
 - অগ্রণী ব্যাংক
 
বেসরকারি ব্যাংকগুলো হল
- মধুমতি ব্যাংক
 - মার্কেন্টাইল ব্যাংক
 - যমুনা ব্যাংক
 - মেঘনা ব্যাংক
 - ডাচ বাংলা
 - ইস্টার্ন ব্যাংক
 - ব্র্যাক ব্যাংক
 - কমিউনিটি ব্যাংক
 - বেঙ্গল কমার্শিয়াল
 - ব্যাংক এশিয়া
 - এবি ব্যাংক
 - প্রিমিয়ার ব্যাংক
 - এনআরবিসি ব্যাংক
 - ওয়ান ব্যাংক
 - এনআরবি ব্যাংক
 - মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক
 - এনসিসি ব্যাংক
 - দি সিটি ব্যাংক
 - সাউথ ইস্ট ব্যাংক
 - ব্যাংক সাউথ
 - বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক
 - সীমান্ত ব্যাংক
 - পূর্বালী ব্যাংক
 - ইসলামী ব্যাংক
 - গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক
 - এক্সিম ব্যাংক
 - ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংক
 - ট্রাস্ট ব্যাংক
 - শাহজালাল ইসলামী ও ইউনিয়ন ব্যাংক
 - সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক
 - আইএফআইসি ব্যাংক
 
বিদেশি ব্যাংক মধ্যে রয়েছে
- আল-আরাফা ইসলামিক
 - ক্রেডিট ব্যাংক
 - টেন্ডার চার্টার্ড ব্যাংক
 - স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া
 
সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক
  যারা ব্যাংক লোন করেন তারা সর্বদাইি ঐ সব ব্যাংক খুঁজে বেড়ান যেসব ব্যাংক খুব কম
  সুদে লোন দেয়। বাংলাদেশে কম সুদে লোন দেয় এরকম আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সুদের
  জটিলতা ঋণ গ্রাহকদের অনেক বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে। বিশেষ করে কম সুদের হার একটি
  লোভনীয় অফার তাই প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা জানার পরে লোন নিতে আগ্রহী হবেন।
  বর্তমান সময়ে সবথেকে কম সুদে তিনটি ব্যাংক লোন দেয়।
- এবি ব্যাংক
 - ব্রাক ব্যাংক
 - বেসিক ব্যাংক
 
  প্রথমটি হল এবি ব্যাংক
  বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে এবি ব্যাংক কারণ সব থেকে কম
  সুদে এই ব্যাংকটি লোন দিয়ে থাকে বিশেষ করে পার্সোনাল লোন করার জন্য এটি ভালো
  একটি ব্যাংক। মাত্র ৭.৪৩% সুদ হারে এবি ব্যাংক পার্সোনাল লোন দিয়ে থাকে। যিনারা
  ব্যবসার কাজে লোন নিতে আগ্রহে তাদের জন্য এবি ব্যাংক সেরা একটি ব্যাংক। 
  আরো পড়ুন: বিকাশ থেকে মোবাইল রিচার্জ করার নিয়ম
  এবি ব্যাংক হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম সরকারি ব্যাংক। তাই সবার পছন্দের তালিকায়
  সর্বপ্রথম যে ব্যাংক রয়েছে তার নাম হলো এবি ব্যাংক। এ বি ব্যাংক ২০ লক্ষ টাকা
  পর্যন্ত পার্সোনাল লোন প্রদান করে থাকে।
  ব্রাক ব্যাংক
  এবি ব্যাংকের মতো আরও একটু পার্সোনাল লোন প্রদান করার ব্যায়াম করছে ব্র্যাক
  ব্যাংক তবে এই ব্যাংকের সুদের হার এবি ব্যাংকের থেকে একটু বেশি। যদিও এ
  ব্র্যাক  খুব সহজে ঋণ সুবিধা দিয়ে থাকে। ব্র্যাক ব্যাংকে ৯% হারে
  গ্রাহকদের মুনাফা প্রদান করতে হয়। এটি একটি বিশেষ সুবিধা হল অন্যান্য ব্যাংক ঋণ
  প্রসেসিং কিছু ফি নিয়ে থাকে।
  এক্ষেত্রে ব্র্যাক ব্যাংকের ঋণ প্রসেসিং ফি মাত্র দুই পার্সেন্ট। আপনি কি ধরনের
  লোন নিতে চাচ্ছেন তার ওপর কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জমা দিতে
  হয় এ বিষয়ে জানতে হলেঅ আপনার ব্র্যাক ব্যাংক এর স্থানীয় কার্যালয় স্থানীয়
  কার্যালয়ে কাস্টমার কেয়ারের কাছ থেকে জেনে নিতে পারবেন।
  বেসিক ব্যাংক
  বেসিক ব্যাংক এমন একটি ব্যাংক যে ব্যাংকে লোন এ সুদের পরিমাণ মাত্র ৮%। যদি আপনার
  পার্সোনাল লোনের প্রয়োজন হয় তাহলে এই ব্যাংকের লোন করতে পারেন নির্দ্বিধায়।
  তবে নতুন বাড়ি করার জন্য অথবা পুরাতন ঘরবাড়ি ঠিক করার জন্য অথবা ফ্ল্যাট কেনার
  জন্য বেসিক সবথেকে সুবিধাজনক।
ব্যাংক লোনের মাসিক কিস্তি হিসাব
  প্রতিটি ব্যাংকই নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম নীতি অনুসরণ করে পরিচালিত হয়। আর সেজন্যই
  যদি কোন কাস্টমার ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করে তার জন্য তাকে নির্দিষ্ট পরিমাণে
  মুনাফা প্রদান করতে হয়। আবার কিস্তির ওপর লোন গ্রহণ করলে কিস্তির মাধ্যমে লোন
  পরিশোধ করতে হয়। জানা দরকার যে ব্যাংক লোনে মাসিক কিস্তি কত টাকা হয়।
  আরো পড়ুন: বিকাশে মোবাইল রিচার্জে ক্যাশব্যাক অফার
  ব্যাংক লোনের মাসিক কিস্তির হিসাব বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। বিভিন্ন ব্যাংকে
  মুনাফার হার বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে একটি ব্যাংকের
  কিস্তি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
  এটি এমন একটি মাসিক কিস্তি ভিত্তিক অর্থাৎ আমানত স্কিম যার মেয়াদ ১ থেকে ৫ বছর।
  স্কিমের মেয়াদ শেষ হলে গ্রাহক সুদসহ মোট জমা টাকা একযোগ ফেরত পাবেন। এই স্কিমে
  টাকা রাখতে মাসের শেষে মাসিক কিস্তি নিয়মিত পরিশোধ করতে হবে যেমন।
  মাসিক কিস্তি হবে আমানত স্কিম ভিত্তিক
- যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি যৌথ অথবা একক নামে এই স্কিমের বিপরীতে একাউন্ট করতে পারবে। তবে যদি নাবালক হয় তাহলে অভিভাবক দ্বারা একাউন্ট খুলতে হবে।
 - এই স্কিমের মেয়াদ এক বছরের, দুই বছরের, তিন বছরের, চার বছরের এবং পাঁচ বছরের।
 - মাসিক কিস্তির পরিমাণ হবে সর্বনিম্ন পাঁচশত টাকা।
 - একাউন্ট খোলার সময় নির্ধারিত মাসিক কিস্তির টাকা পরবর্তীতে আপনি চাইলেও পরিবর্তন করা করতে পারবেনা।
 - কেউ চাইলে একাধিক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।
 - মাসের যে কোন দিন ১ম কিস্তির টাকা জমা দিয়ে স্কিমটি খোলা হবে। পরবর্ততে ব্যাংকের পুঞ্জিকা অনুসরন করে পরবর্তী মাসিক কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হবে।
 - নগদ প্রধানের মাধ্যমে, স্থায়ী নির্দেশ এবং ব্যাংকে গ্রহণযোগ্য যে কোন মাধ্যমে ঋণগ্রহীতা তার মাসের কিস্তির টাকা জমা দিতে পারবে।
 - যেকোনো কিস্তি অগ্রিম প্রদান নিদিষ্ঠ স্থিতি হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে এক বা একাধিক অগ্রিম কিস্তি প্রদান করা যাবে না এবং অগ্রিম কিস্তি প্রধানের জন্য অতিরিক্ত মুনাফা প্রযোজ্য নহে।
 - অবশ্যই কিস্তির অর্ধেক টাকা প্রদান করা যাবে না।
 - যদি কোন কিস্তি বকেয়া থাকে তাহলে পরিশোধ করে পরবর্তী কিস্তি প্রদান করতে হবে।
 - যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কিস্তির টাকা পরিশোধ করা করতে না পারে তাহলে মেয়াদ উত্তীর্ণ হিসেবে বিবেচিত হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ কিস্তি পরিশোধ করার জন্য দুই পার্সেন্ট জরিমান প্রযোজ্য হবে। সর্বোচ্চ দুইটি কিস্তি জরিমানা সহ প্রধানের নিয়ম রয়েছে।
 - যদি দুই কিস্তি অধিক কিস্তি বকেয়া পড়ে সেক্ষেত্রে একাউন্টটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
 - দুই কিস্তি দিতে অপারগ হলে হিসাবের মোট সুদ মোট আয় হতে বকেয়া কিস্তির উপর মাসিক দুই পার্সেন্ট হারে সুদ কেটে হিসাবটি বন্ধ করা হবে। এক্ষেত্রে শর্ত থাকে যে হিসাবটির মেয়াদ সর্বনিম্ন বারো মাস এবং কিস্তির পরিমাণ সর্বনিম্ন বারোটি।
 - মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কোন কিস্তি প্রদান করতে পারবেন না।
 
  সুদের হার
  বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি হারে প্রতিটি স্কিমে হিসেবে সুদ গণনা করা হয়।
  ব্যাংক প্রয়োজনে মেয়াদ পূর্তির পূর্বেও টিমের অধীনে চলমান হিসেবে সুদ আর যে কোন
  সময় পরিবর্তন করার অধিকার রাখে।
কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয়
  বর্তমানে লোন দেওয়ার জন্য আত্মীয় স্বজনের কাছে ধন্না দেওয়ার দেওয়ার প্রয়োজন
  নেই। প্রয়োজন নেই জমি বিক্রি করারও কাজের জন্য, বিদেশে পাড়ি জমানোর জন্য, বড়
  ধরনের ব্যবসা দাঁড় করানোর জন্য, ঋণ দেওয়ার জন্য রেডি রয়েছে প্রবাসী কল্যাণ
  ব্যাংক। একটি বা দুটি নয় সরকারি এবং বেসরকারি মিলে অন্তত সাতটি ব্যাংক বিদেশে
  যেতে ঋণ দিচ্ছে।
  সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হলো এই ঋণের টাকা গ্রহণের জন্য কোন ধরনের জায়গা-জমি,
  সোনা-দানা, গহনা বন্ধক রাখতে হবে না তবে বিদেশে যাওয়ার জন্য লোন দেওয়ার জন্য
  সবার থেকে সর্বপ্রথম যে ব্যাংকটি লোন দিয়ে থাকে। সেটি হলো প্রবাসী কল্যাণ
  ব্যাংক। ২০১১ সালে এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠা হওয়ার অন্যতম কারণই ছিল প্রবাসী দের লোন
  দেওয়া। 
  প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের পাশাপাশি আরো যেসব ব্যাংক বিদেশে যাওয়ার জন্য লোন দেয়
  সেই ব্যাংকগুলো হল সোনালী ব্যাংক, পূর্বালী ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক অন্যতম। এনআরবি
  গ্লোবাল ব্যাংক এবং এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক সাম্প্রতিক বিদেশে যাওয়ার জন্য ঋণ
  দেওয়া শুরু করেছে।
  বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুযায়ী সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখা গেছে যে, এক
  কোটি পঁচিশ লাখ বাংলাদেশি মানুষ বিদেশে রয়েছে। প্রবাসী শ্রমিকদের ব্যাংক থেকে
  লোন গ্রহনের  প্রবণতায় ও প্রভাব দিয়ে তৈরি একটি প্রতিবেদনে দেখা যায় যে,
  দুই শতাংশ কাজ না জানা শ্রমিক এবং ৬২ শতাংশ অদক্ষ শ্রমিক এবং ৩৬ শতাংশ আধা দক্ষ
  শ্রমিক বিদেশে রয়েছে।
  কারা ঋণ পাবেন
  এই ঋণ পাওয়ার জন্য জন্য কিছু যোগ্যতা থাকা অত্যাবশ্যক। ভিসা পাওয়ার পর ব্যাংকের
  এমডি বরাবর আবেদন করতে হবে। ভিসাটি অবশ্যই বিদেশে কাজ করার জন্য যে টাইপের ভিসা
  দরকার সে টাইপের ভিসা হতে হবে। বিদেশে কাজ করার জন্য যিনারা ভিসা পেয়েছেন শুধু
  তিনারাই এইর্ ঋন পাবেন। সম্পূর্ণ বৈধ ভিসা হতে হবে। তবে ব্যাংক কোন ভিসা পাইয়ে
  দেয় না। ঋণের পরিমাণ ভিসার মেয়াদ নির্ভর করবে।
  ঋণ ও সুদ
  সরকারি ব্যাংকগুলো ১ থেকে ২ লাখ টাকা প্রবাসী ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার
  মেয়াদ দুই বছর। আরো বাড়তি দুই মাস ড্রেস পিরিয়ড। সবমিলিয়ে ২৬ মাসের জন্য ০৯%
  হারে এই লোনটি প্রদান করা হবে। বেসরকারি ব্যাংক শাখা গুলো ঋণ দিচ্ছে এক থেকে তিন
  বছর মেয়াদে। সুদের পরিমাণ হবে ১২ থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত।
  প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
  ঋণ পাওয়ার জন্য অবশ্যই কিছু ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে। ঋণ পাওয়ার জন্য যে
  কাগজপাতির প্রয়োজন হবে বা যোগ্যতার প্রয়োজন হবে তা হল।
- বৈধ ভিসা
 - যে কোম্পানি বিদেশগামী কর্মীকে কাজ দেবে সেই কোম্পানির নিয়োগপত্র
 - আবেদনকারীর তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
 - স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানা উল্লেখপূর্বক পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নেওয়া নাগরিক সনদ।
 - পাসপোর্ট এর ফটোকপি
 - ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
 - এবং দুইজন জামিনদার ব্যক্তি অর্থাৎ লিখিত জামিন নাম।
 
  ঋণ পরিশোধ
  সোনালী ব্যাংকে তিন বছরের মধ্যে ঋণ পরিষদ করতে হবে। বিদেশে যাওয়ার পর দুই বছরে
  ২৪ কিস্তি অথবা তিন বছরে তিন গুণন ১২X3= ৩৬ কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। প্রতি মাসে
  একটি করে কিস্তি টাকা প্রদান করতে হবে। সোনালী ব্যাংক এক অংক সরল সুদ গ্রহণ করে
  থাকে, অগ্রণী ব্যাংক এক অংক সুধ গ্রহণ করে।  তবে ঋণ পরিশোধ করার সময় দেয়
  দেড় বছর।
  পূবালী ব্যাংক সর্বোচ্চ আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিয়ে থাকে কিন্তু মেয়াদ দুই
  বছর মধ্যে পরিশোধ করতে হবে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক সহ আরো আরো অন্যান্য সকল ব্যাংক
  বেসরকারি সকল ব্যাংক ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিয়ে ১২, ২৪ এবং ৩৬ কিস্তিতে পরিষদের
  সিস্টেম চালু রয়েছে। বিদেশে যাওয়ার তিন মাস পর থেকে কিস্তির টাকা প্রদান করতে
  হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর কে
  বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর হলেন আব্দুর রউফ তালুকদার। তিনি ১৫ই আগস্ট ১৯৬৪
  সালে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলায় তারাকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন
  জন্মগ্রহণ করেন। গভর্নর হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি অর্থ
  মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্বরত  ছিলেন।
  আব্দুর রউফ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। বিভিন্ন সময় তিনি
  খাদ্য মন্ত্রণালয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
  তবে চাকরির জীবনের বেশিরভাগ সময়েই তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করেছেন।
  এবং সর্বশেষ তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন শেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের
  গভর্নর হিসেবে ১২ই জুলাই ২০২২ সালে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
লেখকের মন্তব্য
  ঋণের বোঝা বয়ে বেড়ানো বড়ই কঠিন কাজ। যদি না আপনি ঋণের টাকা কোন কাজে না লাগান।
  লেখকের পরামর্শ থাকবে আপনি খুব প্রয়োজন হলে ঋণ গ্রহণ করবেন। যেহেতু মুনাফা ছাড়া
  কোন ব্যাংক লোন দেয় না। আর মুনাফা অর্থাৎ সুদের টাকা নেওয়া এবং দেওয়া ইসলামী
  পরিভাষায় দুটোই পাপ কাজ। তাই ঋণের টাকা গ্রহণ হতে বিরত থাকায় শ্রেয়।



অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url